ঢং ঢং ঢং ঢং ঢং।
পাশের গীর্জার ঘণ্টাধ্বনি প্রতিদিনের মত আজও শোনা গেল। সবাইকে সে জানান দিলো, ভোর পাঁচটা বেজে গেছে। কিন্তু আজ আর প্রতিদিনের মতো ঘন্টার শব্দে ধড়ফড় করে জেগে উঠলাম না। আজ আমার অনেক আগেই ঘুম ভেঙে গেছিল। শুধু চুপচাপ শুয়ে থেকে আকাশের তারাগুলির অস্ত যাওয়া দেখছিলাম। সত্যি কথা বলতে গেলে, কাল রাত্রে ঠিক ঘুমাইনি। এরকম আমার অবশ্য মাঝেমধ্যে হয়। কিন্তু তারপর আবার নতুন করে দিনও শুরু করি। অথচ আজ প্রতিদিনের মত তাড়া অনুভব করছি না। মনটা খুবই ভারাক্রান্ত। যেন মনে হচ্ছে রাজ্যে যত কষ্ট আছে, সব আজই যেন আমাকে পেয়ে বসেছে। প্রায়শই একটা জিনিস লক্ষ্য করি, যখনই আমার মন বেদনায় ভরে ওঠে, চোখ দিয়ে জল পড়তে চায় ঠিক তখনই কত দুঃখের স্মৃতি মানসপটে ভেসে ওঠে। স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস পড়ে, তারপর আরও কান্না পায়। কত দুঃখের স্মৃতি জমে আছে বুকে। এ তো আর এক দু বছরের গল্প নয়, এ হচ্ছে প্রায় চল্লিশ বছরের কাহিনী!
আজ আমার নিজেকে খুব বুড়ো মনে হচ্ছে। এবার বোধহয় আমার বিশ্রাম নেওয়া উচিত। চল্লিশ বছর তো আর কম কথা নয়? মানুষের কাছে হয়তো চল্লিশ বছর তেমন কিছু নয়, কিন্তু যে এই চল্লিশ বছর ধরে একা একা এক জায়গাতেই স্থির হয়ে কাটিয়েছে, জীবনের অনেক ভালো মন্দ ঘটনার সাক্ষী থেকেছে, কোনোদিন কাজ থেকে ছুটি পায়নি তার কি আর বুড়ো হতে ষাট বছর লাগে?
প্রতিদিনের মতো আজও একটু পরেই আমাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত পুরো শরীর পরীক্ষা করতে একটা লোক আসবে। শরীরের যে কিছু হয়েছে তাও কিন্তু নয়। যত বলি, “আমি ঠিক আছি কাল না এলেও চলবে”, আমার সেকথা কি আর সে শুনেছে কোনোদিন না আজ শুনবে? আজকাল তাই আর বলিও না। তারও অবশ্য কিছু করার নেই। আমার শরীর প্রতিদিন চেক করার ডিউটি নিয়েই সে এখানে এসেছে। তবে লোকটা বড্ড ভালো। প্রতিদিনই সমান গুরুত্ব দিয়ে আমাকে পরীক্ষা করে। কোনোদিনও কাজে ফাঁকি দিতে দেখিনি। এমনও অনেকবার হয়েছে যে সে জ্বর গায়েও আমাকে দেখতে এসেছে। ভারী ভালো ছেলে। আর ভগবান বুঝি ভালো মানুষদের জন্যই সমস্ত কষ্ট বরাদ্দ করে রেখেছে। ওর বউটা ক্যানসারে ভুগছে কয়েক বছর ধরে, হয়তো আর বেশিদিন বাঁচবে না। তার উপর একমাত্ৰ মেয়েটাও কিছুদিন আগে কোথাকার এক ছেলের হাত ধরে পালিয়ে গেল বাবা মাকে না জানিয়ে। কিছুদিন পর যখন ফিরে এলো তখন তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। কতই বা বয়স মেয়েটার? আঠারো কিংবা উনিশ হবে বড়জোর। মাঝেমধ্যে ভাবি অনেক টাকা পয়সা দিয়ে আমি ওদের সব দুঃখ দূর করে দেব। বউটা ভালো চিকিৎসা করে ভালো হয়ে উঠবে। কিন্তু আমার ওকে দেবার মত কীই বা আছে? শুধু এই শরীরটুকু চেক করতে দেওয়া ছাড়া?
আমার শরীর চেক করা হয়ে গেল মানে এবার আমি ব্যস্ত হয়ে উঠবো। আমার চুপ করে বিশ্রাম নেবার সময় নেই। এরপরেই লোকজন সব ব্যস্ত হয়ে উঠবে। আমার শরীর তো আর মানুষের মত শুধু হাত পা, মাথা দিয়ে তৈরি না। আমার শরীরে কত কী আছে তা ঠিক আমি নিজেই হয়তো জানিনা- কতগুলো খুপরির মতো ঘর, বসার জায়গা, জলের কল, গাড়ি যাওয়ার রাস্তা, ব্রিজ, দোকানপাট, আরো কত কী। সেসব বলে শেষ করা যাবে না। আমার মানুষের মতো পা নেই, তাই এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতেও পারি না। এই একটা জায়গাতেই স্থির হয়ে চল্লিশ বছর কাটিয়ে দিলাম! কবে মরণ হবে কিংবা আদৌ হবে কিনা তাও আমি জানিনা। মাঝেমধ্যে শুনি আমি নাকি অমর!
যা বলছিলাম, এরপর আর কত লোকজন আসবে আমার কাছে। গাড়ি চড়বে। কেউ বা নামবে গাড়ি থেকে। তারপর গাড়ি এখান থেকে চলে যাওয়া মানে আবার আগের মতো নিস্তব্ধতা। এরপরের গাড়ি যখন আসবে তখন আবার ব্যস্ততা শুরু হবে। সারাদিনে আমার উপর দিয়ে মাত্র চারটা গাড়ি যাওয়া আসা করে। যখন আমি জন্মাই, তখন সারাদিনে একটা গাড়ি যেত। তার প্রায় বছর পনেরো পরে আরও একটা গাড়ি যাওয়া শুরু করলো। তার বছর দশেক পর আবার একটা এলো। আর শেষ গাড়িটা আসা শুরু করেছিল তিনবছর আগে। রাত্রি নটার সময় যখন শেষ গাড়িটা হর্ন দিতে দিতে যায়, তখন মনে হয়, সে যেন দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বেরিয়ে যায়। তারপরই তো সব শান্ত হয়ে যায়, সব কোলাহল থেমে যায়, সবাই দোকানপাট গুছিয়ে বাড়ি চলে যায়। অদ্ভুত এক নীরবতা বিরাজ করে তখন আমার মধ্যে। এরপর আমি শুধু একা জেগে বসে থাকি। তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পড়ি তা নিজেও বুঝতে পারিনা। বুঝতে পারি তখন, যখন সকালে গীর্জার ঘণ্টাধ্বনিটা শুনি।
আমার রোজকার একঘেয়ে জীবনের কাহিনী শুনিয়ে কোনো লাভ নেই। অবশ্য কে আর আসছে আমার নিজের কথা শুনতে? তাই নিজেই যখন নিজেকে শোনাচ্ছি, তখন বোরিং জীবনের কথা ভেবে লাভ কী?
প্রত্যেক শনিবার বিকেলবেলা একটা ছেলে আর একটা মেয়ে আমার এখানে আসতো। এসে আমার ডান হাতের একেবারে শেষ প্রান্তে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসত। তারপর কত মিষ্টি মধুর গল্প জুড়ে দিত দুইঘন্টা ধরে। প্রথম প্রথম অতটা লক্ষ্য করিনি ভালো করে। এমন তো অনেকেই বিকেলবেলা হলে আমার কাছে এসে বসে। কিন্তু ওদের মধ্যে একটা কিছু বিশেষ জিনিস ছিল যা অন্য কারুর মধ্যে ছিল না। আমি তো কোনোদিন প্রেম ভালোবাসা পাইনি, তাই ওদেরকে দেখলে খুব ভালো লাগতো আমার। কি মিষ্টি দুজন! যেন দুজনের জন্যই দুজনে জন্মেছে! পরের দিকে তো আমি অপেক্ষা করতাম শনিবার কখন আসবে? আর ওরা আমার কাছে এসে বসবে, গল্প করবে? আমি ওদের অজান্তে ওদের ভালোবাসাকে অনুভব করবো। প্রথম প্রথম ওদের কথাবার্তা কান পেতে শোনার চেষ্টা করতাম। কিন্তু পরে যখন ওদেরকে বুঝতে শিখলাম তখন কেমন অপরাধবোধ এসে গেল। তারপর ওরা এসে বসলে আমার কানটাকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখতাম। কিন্তু মনটাকে পারতাম না। ওটা পরে রইতো ওদের প্রতিই। তাই দূর থেকে ওদেরকে আমি অনুভব করার চেষ্টা করতাম নিজের হৃদয়ের মধ্যে।
একদিন আচমকা দেখলাম ছেলেটা মেয়েটার গালে একটা চড় কষিয়ে দিয়ে হনহন করে চলে যাচ্ছে। মেয়েটার শত অনুরোধেও সে আর ফিরলো না। তারপর মেয়েটি ওখানে বসেই কাঁদতে শুরু করলো। আমার এত রাগ হলো ছেলেটার উপর যে, ইচ্ছে করলো জোর করে দুই গালে দুটো চড় লাগিয়ে সিধে করে দেই। কিন্তু পারলাম না। তারপর ভাবলাম ভালোবাসাতে ঝগড়াঝাটি হয়ে থাকে, আবার ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু না, আমি ভুল ভেবেছিলাম। এরপরের শনিবারে মেয়েটি একাই এসে বসলো বেঞ্চে। ছেলেটি এলো না। এরপরের শনিবারেও এলো না, পরের বারেও না। শুধু মেয়েটা এসে একা বসে, অপেক্ষা করে, তারপর আবার চলেও যায়। আমার নিজের যেন বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আস্তে লাগলো। ইচ্ছে হলো মেয়েটির কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দেই, কিন্তু পারিনি। এরপর থেকে ওই ছেলেটি বা ওই মেয়েটি আর কখনো আমার কাছে আসেনি। মাঝেমধ্যে প্রার্থনা করতাম, “ঠাকুর,ওদেরকে আবার মিলিয়ে দাও। ওরা যেন আবার আগের মতো আমার কাছে এসে বসে।” কিন্তু ঠাকুর আমার কথা রাখেনি। প্রত্যেক শনিবার এলেই ভাবতাম আজ হয়তো ওরা দুজনে আসবে। কিন্তু কত শনিবার এল গেল, ওরা আর কোনোদিন ফিরলো না আমার কাছে। ওই দুটি ছেলেমেয়ে আমার কাছে যে কী আনন্দ বয়ে আনতো তা বলতে পারিনা। তাই যখনই ওদেরকে মনে পড়ে ঠিক তখনই নিজের অজান্তেই চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে।
একবার সন্ধ্যেবেলা একটা ছেলে এসে বসলো আমার কাছে। ছেলেটি সম্ভবত শেষ ট্রেনটিতেই এসেই আমার এখানে নেমেছিল। তারপর একেবারে আমার হাতের শেষ প্রান্তে গিয়ে বসলো। সেইসময় লোকজন কমে গিয়েছিল বলে খুব সহজেই ওর উপর নজর গিয়েছিল। ছেলেটাকে এর আগে কয়েকবার দেখেছি। কোথায় যেত মাঝেমধ্যে। আজ দেখলাম ছেলেটা চুপচাপ বসে কাঁদতে শুরু করেছে, কোনো শব্দ না করেই। আমার মনে আছে প্রায় আধঘন্টা ধরে ও এমন করে বসে কেঁদেছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না, আমার কী করা উচিত। বুঝতে পারলেও হয়তো কিছু করতে পারতাম না আমি। হটাৎ দেখি ছেলেটা তার ব্যাগ থেকে কীসব কাগজ বের করে ছিঁড়ে ফেলছে। আমি তো অবাক। কাছে গিয়ে ভালো করে চেয়ে দেখি, ওইসব কোনো মামুলি কাগজ নয়! ছেলেটার বিভিন্ন স্কুল কলেজের সার্টিফিকেট। আর ছেলেটা সেসবই এক এক করে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করছে। আমি বাধা দেবার অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু তা ছেলেটার কোনো কাজে এলো না। আসলে আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমার হাত পা বাঁধা। আমার নিজের কোনো ক্ষমতাই নেই হাত পা নাড়াবার। আমি যে কারুর কোনো ভালো কাজে আসতে পারি না, তা ওই ছেলেটি সেদিন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল।
এসব যখনই ভাবি, তখনই আমার নিজের জীবনের প্রতি ঘৃণা এসে যায়। ধিক্কার জানাতে থাকি নিজেকে। হয়তো আগের জীবনে প্রচুর পাপ করেছি তাই আমি এই জীবনে শাস্তি পাচ্ছি। এরকম ছোটবড় অজস্র ঘটনাই আমার মনে পড়ে যখন আমি রাত্রিবেলা ঘুমোতে যাই, কিংবা যখন আজকের মতই মন ভারাক্রান্ত থাকে। ওইসব ঘটনা মনে করে আমি খুব কাঁদি। আমার কান্না পেতে খুব ভালো লাগে।
এখানে গির্জাটার পাশেই একটা গরিব লোকের ঘর ছিল। ছিল বলছি কেন, এখনো আছে। শুধু ওই ঘরটার আজ কোনো প্রাণ নেই। বউ আর একটা তিন বছরের ছোট বাচ্চা ছেলে নিয়েই ছিল তার সংসার। লোকটি চাষবাস করেই সংসার চালাতো। কিন্তু এবারে বাজারে যে তার ফসলের চাহিদা কমে যাবে তা সে আর জানবে কোথা থেকে? ফলে তার মাঠের জিনিস মাঠেই রইলো পড়ে। বেচারা বিক্রি করতে আর পারে না। ধারদেনা করে এবার অনেকটা জায়গা জুড়ে ফসল ফলিয়েছিল। কিন্তু দাম আর সে পেলো না তার ফসলের। তারপর কয়েকজন মিলে কিছুদিন আগেই আমার এখানে সেইসব ফসল মাটিতে ছড়িয়ে দিয়ে বিক্ষোভও দেখালো। কিন্তু গরীবের কথা কে আর কবে শুনেছে?
কাল সকালবেলাও প্রত্যেকদিনের মতো উঠে পড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। লোকজনের আনাগোনা শুরুও হয়ে গেছিলো। সকালের গাড়িটাও আমার কাছে এসে থেমে আবার বেরিয়েও গেছিলো। আমিও নিশ্চিন্ত মনে কী একটা ভাবছিলাম। হটাৎ অনেক লোকের চেঁচামেচি শুনে ফিরে তাকালাম। গাড়িটা তখন আমার এখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্পীড নিচ্ছিল। এখন তাকিয়ে দেখি গাড়িটা কিছুদূর গিয়ে থেমে গেছে। আমার ক্ষমতা নেই যে একটু এগিয়ে গিয়ে দেখবো কী হয়েছে। একটু পরে লোকজনের মুখে শুনলাম কেউ নাকি গাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লোকটাকে যখন আমার এইদিক দিয়ে নিয়ে গেল তখন দেখলাম লোকটা একা নয়, সাথে স্ত্রীকে নিয়েই ঝাঁপ দিয়েছে। চিনতে অসুবিধা হলো না লোকটাকে। দেনা থেকে মুক্ত হতে লোকটি ভালো পথই বেছে নিয়েছে। কিন্তু তারপরই যখন একজন লোক ওদের সেই তিনবছরের ছেলেটাকে নিয়ে এলো এদিকে আমি তখন চমকে উঠেছিলাম। সেই ছোট্ট ছেলেটি তখন বুঝতেই পারেনি কী হয়েছে তাদের মা বাবার। সেদিনই জীবনে প্রথম আমি ঠাকুরের কাছে কারুর মৃত্যু প্রার্থনা করেছিলাম। ঠাকুর কেন ছেলেটিকেও ওর মা বাবার কাছে পাঠিয়ে দিলো না? সারাজীবন কী করে একা বাঁচবে ও? এরপরেও আমার আশ্চর্য হবার আরো কিছু বাকী ছিল। সন্ধ্যেবেলা শুনতে পেলাম, ছেলেটির মৃত মা নাকি সাত মাসের গর্ভবতী ছিল!
আজ আমি তাই ভীষণ পরিশ্রান্ত। সারারাত কেঁদে আমি ক্লান্ত। কেঁদে কেঁদে চোখের জল শুকিয়ে যাবে, তবু আমার এইসব কাহিনী শেষ হবে না। আমার তাই বিশ্রামের প্রয়োজন, অনেক বিশ্রাম!
“ডাক্তার, আজ আর আমার শরীর পরীক্ষা করতে এসো না। আমাকে ঘুমোতে দাও। আমি ভুলে থাকতে চাই নিজেকে।”
✍️✍️✍️
কী আর বলবো। ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।😍
অসাধারণ লাগলো।এক স্টেশনের কাহিনী যে এতো সুন্দর উপস্থাপন করা যায় তোমার লেখা না পরলে বুঝতাম না। মন ছুয়ে গেল। আর কত প্রতিভা দেখাবে??? নতুন কিছুর জন্য অপেক্ষায় রইলাম। শুভকমনা থাকলো নতুন সাহিত্যিক (আফুয়া)।
এতো ভালো লাগলো পড়ে কি বলবো!!!🙏🙏
পুরো মন ছুয়ে গেল।স্টেশন কে নিয়ে ও যে এরকম ভাবা যায়,না পড়লে বুঝতে পারতাম না।আমি তো বেশ অনেকটা সময় পর বুঝলাম স্টেশন এর কথা বলছিস,তার আগে একজন মানুষের জীবন যন্ত্রনা অনুভব করছিলাম।।
এত দারুন লিখিস জানতামই না এতোদিন😘😘😘
Darun hoyeche, joro r modhe pran r sanchar, golpo ta puro Mon chue gelo
একদম তাই। অনেকের জীবনের টুকরো টুকরো অংশ নিয়ে এই গল্পটা।
Ekti station er atmo kothar modhyo diye jiber jiboner boichitrer songmisron er songe ajib er milon er ak sundor kahini ..Well done..
থ্যাংকু মন্দিরা। 😍😍😍
ডিটেলে কমেন্ট পেয়ে সত্যি ভালো লাগলো। থ্যাংকু 😍😍
ভাটিয়ালি গানটা তাহলে ভালোই বলছিস? থ্যাংকু 😍
Mandira. Khub sundor hoyacha
এই ধরনের কল্পকাহিনী তো অনেক পরেছি কিন্তু এই গল্পটা তে শুধু স্টেশনটির আত্নকথা নয় বরং তার োো সঙ্গে আমাদের সামাজিক ব্যবস্থার যে দিক গুলো তুলে ধরেছ ওই গুলো গল্পটাকে আর ও সুন্দর রুপের দিয়েছে। সবশেষে বলব খুব সুন্দর হয়েছে এরকম আরও গল্পের আশা রাখলাম।
দাদা, তুমি অনুভূতি দিয়ে একটা নৌকো তৈরি করেছ। সেই নৌকোয় বসে মাঝির দুঃখ ভরা ভাটিয়ালি গান মন্দ লাগলো না